"তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার" — বাংলা গান সম্পর্কে প্রবন্ধ

"তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার" গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার রচিত একটি জনপ্রিয় বাংলা গান। এই গানটির সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, এবং গানটি গেয়েছিলেন গায়িকা গীতা দত্ত। ১৯৫৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অজয় কর পরিচালিত "হারানো সুর" চলচ্চিত্রে এই গান প্রথম প্রকাশ পায়। "হারানো সুর" চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এই চলচ্চিত্রের অন্য একটি গান "আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে" একই রকম কালজয়ী জনপ্রিয়তা পায়।

গীতা দত্ত
চিত্রসূত্র: উইকিমিডিয়া কমন্স
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার (১৯২৫–১৯৮৬) আধুনিক বাংলা গানের একজন জনপ্রিয় গীতিকার। তাঁর লেখা গানে প্রেমের বিভিন্ন আবহ এবং মূর্ছনা প্রতিফলিত হয়। একই দিকে যেমন তাঁর লেখায় বিরহ, তথা অপ্রাপ্তির যাতনা, অন্যদিকে তাঁর বেশ কিছু মিলনাত্মক তথা আনন্দময় প্রেমের গানও রয়েছে। বর্তমান গানটি তেমনই একটি গান।

গীতা দত্ত (১৯৩০–১৯৭২) কম বয়স থেকেই গান গাওয়া শুরু করেন। শচীন দেববর্মণ, মান্না দে, সুধীন দাশগুপ্ত, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ শিল্পীদের সাথে তিনি কাজ করেন। তিনি বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গান গেয়ছিলেন। অভিনেতা গুরু দত্তের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল, এবং ১৯৫৩ সালে তাঁর গুরু দত্তের বিবাহ হয়। তাঁর দাম্পত্যজীবন কতটা সুখের ছিল, তা নিয়ে  প্রশ্ন রয়েছে। ১৯৭২ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে গীতা দত্তের মৃত্যু হয়।

এই গানে গানের প্রথম পংক্তি "তুমি যে আমার" ফিরে ফিরে আসে। এই পংক্তি প্রেমের এবং মিলনের একাত্মতার নির্দেশক।

গানের কথা

"তুমি যে আমার" গানের কথা এইরূপ—
তুমি যে আমার—
(ওগো) তুমি যে আমার।
কানে কানে শুধু একবার বলো
"তুমি যে আমার"।
 
আমার পরাণে আসি
তুমি যে বাজাবে বাঁশী,
সেই তো আমার জীবনে
তোমারই অভিসার।

তুমি যে আমার দিশা
অকূল অন্ধকারে,
দাওগো আমায় ভরে
তোমার অহংকারে।
 
জীবন মরণ মাঝে
এসো গো বধূর সাজে,
সেইতো আমার সাধনা—
চাইনা যে কিছু আর।
 

দেখাশোনা

"তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার" গানটির ভিডিও/অডিও আপনি ইউটিউবে দেখতে পারেন। অথবা নীচেও দেখতে পারেন।

আরও পড়ুন



মন্তব্যসমূহ